Wellcome to National Portal
মেনু নির্বাচন করুন
Main Comtent Skiped

কী সেবা কীভাবে পাবেন

কি সেবা কিভাবে পাবেন

নিয়মিত ইমাম প্রশিক্ষণ কার্যক্রম:

          জাতীয় পত্রিকায় প্রশিণের জন্য ইমাম/মোয়াজ্জিন গণকে আবেদন করতে বিজ্ঞাপন প্রকাশ হয়।প্রকাশিত বিজ্ঞাপনের আলোকে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সহ জেলা কার্যালয়ে আবেদন পৌছাতে হয়। ইমাম/মোয়াজ্জিন গণের আবেদনের প্রেক্ষিতে যোগ্য লোক বাছাই করে প্রশিক্ষণের জন্য ইমাম প্রশিক্ষণ একাডেমীতে প্রেরণ করা হয়।            

ইমাম ও মুয়াজ্জিন কল্যাণ ট্রাষ্ট:

           নির্ধারিত আবেদন ফরম পূরণ করে প্রতি মাসে ১০.০০ হারে এককালীন এক বছরের চাঁদা পরিশোর করে সদস্য হওয়া যাবে। বছরের যে কোন সময় সদস্য  

           হওয়া  যায়। উক্ত ট্রাষ্ট থেকে সদস্যদের মাঝে বিনা সুদে লোন এবং আর্থিক সাহায্য প্রদান করা হয়।

সরকারী ব্যবস্থাপনায় হ্জ্জযাত্রী সংগ্রহ:

          পবিত্র হজ্জ মৌসুমে  সরকারী ব্যবস্থাপনায়  হজ্জেগমনেচ্ছুদের মাঝে হ্জ্জ ফরম বিতরণ ও পূরণে সহযোগিতা করা হয়। হ্জ্জ ফরম জেলা প্রশাসকের কার্যালয়,

          উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয় এবং ইসলামিক ফাউন্ডেশন অফিস থেকে সংগ্রহ করা যাবে।

বই বিক্রয় বিভাগ:

          ইসলামিক ফাউন্ডেশন যশোর জেলা কার্যালয়ের বই বিক্রয় বিভাগ থেকে ইফা: প্রকাশিত বই পুস্তক বিক্রয় করা হয়।

প্রসাশন বিভাগঃ- ১
     অত্র জেলা কার্যালয় কর্তৃক বাস্তবায়িত জাতীয় ও ধর্মীয় গুরুত্বপুর্ণ দিবস ১৩ টি। পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সঃ) উদযাপনে সেমিনার/আলোচনা সভা/ওয়াজ মাহফিল/হামদ-নাত সহ মোট ০৫ টি। পবিত্র রমজান মাসে তাফসির মাহফিল প্রতি উপজেলায় ০১ টি ও জেলায় ০৩ টি। ইসলামের মৌলিক শিক্ষা বিষয়ক কোর্স এস. এস. সি. ও দাখিল পরীক্ষাউত্তর ছাত্র/ছাত্রীদের প্রশিক্ষণ কোর্স ০২ টি। মহিলা সাহাবীদের জীবনী আলোচনা ০৩ টি অনুষ্ঠান। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ভিত্তিক সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা প্রতি উপজেলায় ০১ টি ও জেলায় ০১ টি। জাতীয় শিশু কিশোর সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা প্রতি উপজেলায় ০১ টি ও জেলায় ০১ টি। জাতীয় হিফজ প্রতিযোগিতা প্রতি উপজেলায় ০১ টি ও জেলায় ০১ টি। ১৭ই মার্চ  জাতীয় শিশু দিবস প্রতি উপজেলায় ০১ টি। ২২ শে মার্চ ইসলামিক ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন প্রতি উপজেলায় ০১ টি। এছাড়াও সরকারী সিদ্ধান্তের আলোকে জনগুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন বিষয়ে ইমাম সাহেবদের মাধ্যমে উদ্বুদ্ধকরণ ও প্রচার প্রচারণার কাজ সম্পন্ন করা হয়।

মসজিদভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রমঃ- ২

    মসজিদভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রম ইসলামিক ফাউন্ডেশনের গুরুত্তপূর্ণ একটি বৃহৎ প্রকল্প। এই প্রকল্পের প্রথম পর্যায়ে শিক্ষা কার্যক্রম জানুয়ারী ১৯৯৩ থেকে শুরু হয়ে ধারাবাহিক ভাবে বর্তমান সময় পর্যন্ত (৫ম পর্যায়) চলমান রয়েছে। বর্তমানে ২০১২ শিক্ষাবর্ষে প্রাক প্রাথমিক কেন্দ্রের সংখ্যা ৪৫২ টি, সহজ কোরআন শিক্ষা কেন্দ্রের সংখ্যা ৩১৫ টি এবং বয়স্ক কেন্দ্রের সংখ্যা ১২ টি সহ সর্বমোট কেন্দ্র সংখ্যা ৭৭৯ টি। প্রতিটি কেন্দ্রে ০১ জন করে শিক্ষক কর্মরত। তাদের মাসিক সম্মানী ভাতা ১৮০০/- টাকা এবং ২টি ঈদে ইনসেনটিভপ্রাপ্যসহ অন্যান্য শিক্ষা উপকরনও বিনামূল্যে সরবরাহ করা হয়, যেমন ব্ল্যাক বোর্ড, সাইন বোর্ড, চট/হুগলা/মাদুর, চক, ডাস্টার, খাতা, পেন্সিল - এগুলো শিক্ষার্থীদের মাঝে বিতরণ করা হয়। এছাড়াও অত্র জেলার প্রতিটি উপজেলায় ০১টি করে মডেল রিসোর্স সেন্টার কাম সাব অফিস স্থাপন করা হয়েছে এবং উপজেলা পর্যায়ে সর্বমোট ২২ টি সাধারণ রিসোর্স সেন্টার রয়েছে যার দায়িত্বে মডেল কেয়ারটেকার ও সাধারণ কেয়ারটেকার নিয়োজিত আছে। মডেল কেয়ারটেকারদের মাসিক সম্মানী ২৭০০/-এবং সাধারণ কেয়ারটেকারদের মাসিক সম্মানী ২২০০/- টাকা এছাড়াও ২ টি ঈদে সমপরিমান ইনসেনটিভ প্রদান করা হয়।
উপরোক্ত কেন্দ্রগুলো নিয়মিতভাবে পরিদর্শন করার নিমিত্তে ৮০টি কেন্দ্রের জন্য ০১ জন করে ফিল্ড সুপারভাইজার কর্মরত রয়েছেন। অত্র জেলার সকল কেন্দ্রগুলো পরিদর্শন করেন- উপ পরিচালক প্রতি মাসে ০৪ দিন, সহকারী পরিচালক ০২ দিন, ফিল্ড অফিসার ০৮ দিন, ফিল্ড সুপারভাইজার ১৮ দিন, মডেল কেয়ারটেকার ১২ দিন, এবং সাধারণ কেয়ারটেকার ১০ দিন সার্বিকভাবে কেন্দ্রগুলি পরিদর্শন করে থাকেন। প্রকল্পের সার্বিক কার্যক্রম অগ্রগতি ৯৭% । প্রকল্পের লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী সার্বিক কার্যক্রম যথাযথভাবে বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। এছাড়া উপজেলা মনিটরিং কমিটি ও জেলা মনিটরিং কমিটির সভা বছরে ৩/৪ টি করে বাস্তবায়ন করা হয় । জেলা মনিটরিং কমিটির সভাপতি জেলা প্রশাসক মহোদয় এবং উপজেলা কমিটির সম্মানিত সভাপতি উপজেলা নির্বাহী অফিসার সকল। তাছাড়া সহজ কোরআন শিক্ষা কার্যক্রমের শিক্ষকদেরকে সহীহ কোরআন প্রশিক্ষণ দেয়ার জন্য প্রত্যেক জেলা কার্যালয়ে একজন করে মাষ্টার ট্রেইনার কর্মরত আছেন।

ইমাম প্রশিক্ষণ একাডেমী ঃ- ৩
    ইসলামিক ফাউন্ডেশনের অন্যতম একটি বিভাগ হচ্ছে ইমাম প্রশিক্ষণ একাডেমী । ঢাকা বিভাগ সহ ০৭ (সাত)টি কেন্দ্রের মাধ্যমে মসজিদের ইমাম ও মুয়াজ্জিন গণকে ৪৫ দিন ব্যাপী ইসলামের মৌলিক  বিষয় সম্পর্কে জ্ঞান দানের পাশাপাশি গণশিক্ষা , পরিবার পরিকল্পনা, কৃষি ও বনায়ন, পশু পাখি ও মৎস চাষ, প্রাথমিক স্বাস্থ্য পরিচর্যা, বৃক্ষরোপন ও গবাদি পশু চিকিৎসা সহ বিভিন্ন বিষয়ের উপর প্রশিক্ষণ প্রদান করে তাদেরকে উপার্জনক্ষম এবং দেশের আর্থ সামাজিক উন্নয়নে অবদান রাখার মতো উপযুক্ত করে গড়ে তোলাই ইমাম প্রশিক্ষনের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য। অত্র জেলা কার্যালয় থেকে এ পর্যন্ত সর্বমোট ৬১৯ জন কে ইমাম প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়েছে।
        অত্র জেলা থেকে নির্বাচিত হয়েছেন।
        (ক) শ্রেষ্ঠ ইমাম সর্বমোট  = ২৬ জন।
        (খ) শ্রেষ্ঠ খামারী সর্বমোট = ১১ জন।


বই বিক্রয় শাখা ঃ- ৪
ইসলামিক ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠা লগ্ন থেকে অত্র জেলায় বই বিক্রয় কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।ইসলামিক ফাউন্ডেশনের প্রধান কার্যালয়ের বই প্রকাশনা  বিভাগ হতে এ পর্যন্ত ৩,৩০০ শিরোনামের বই প্রকাশ করেছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য পবিত্র কোরআন ও কোরআন সম্পকির্ত ইসলামের মৌলিক বিষয়াবলী ঃ- মহানবী (সাঃ) এর সীরাত ও হাদিস সম্পর্কিত, ইসলামের ইতিহাস ও ঐতিহ্য, ইসলামের আইন, তাফসীর, কোরআন, হাদীস, দর্শন, মুসলিম মনীষীদের জীবনী, ইসলামী অর্থনীতি, নারী, যৌতুক, মানবিক ও শিশু কিশোর উপযোগী চরিত্র গঠন মূলক সাহিত্য, এছাড়াও বাংলায় ২ খন্ডে সমাপ্ত সংক্ষিপ্ত ইসলামী বিশ্বকোষ সহ ২৮ খন্ডে সমাপ্ত বৃহত্তর ইসলামী বিশ্বকোষ ইতোমধ্যে প্রকাশিত হয়েছে। প্রকাশিত পুস্তক গুলো প্রত্যেক জেলার বিক্রয় কেন্দ্রের মাধ্যমে আকর্ষণীয় কমিশনে বিক্রয় করা হয়ে থাকে। প্রেক্ষিতে অত্র জেলা কার্যালয়ের মাধ্যমে ২০১১-১২ অর্থ বছরে ১৫ই ফেব্র“য়ারী/১১ইং পর্যন্ত উন্নয়ন খাতের পুস্তক বিক্রয়ের পরিমান ৩,২৪,১৮৯/- এবং রাজস্ব খাতের পুস্তক বিক্রির পরিমান ৪,১৮৯/- টাকা মাত্র । অত্র জেলার বিক্রয় কেন্দ্র হতে জেলা প্রসাশক মহোদয় সহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধানগণ পুস্তক ক্রয় করে থাকেন। এতে বিক্রির পরিমান আশানুরুপ ভাবে ভাল।

ইসলামিক মিশন কার্যক্রমঃ- ৫
    ইসলামিক মিশনের কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে ১৯৮৩ সাল হতে বর্তমান দেশের ২৮টি জেলায় ৩১টি মিশন কেন্দ্রের মাধ্যমে বিভিন্ন কর্মসূচী বাস্তবায়িত  হচ্ছে। মিশন কেন্দ্রের কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের উপজেলায় ইউনিয়ন ও গ্রাম এলাকায় অবস্থিত। মিশন কেন্দ্রের মাধ্যমে বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা প্রদান, স্থানীয় এলাকার প্রত্যন্ত অঞ্চলে দুঃস্থ ও দরিদ্র জনগনকে হালাল জীবিকা অর্জনের জন্য সহায়তা প্রদানের লক্ষ্যে গরীব ও অসহায় জনগোষ্ঠিকে স্বাবলম্বী করে তোলার জন্য সুদমুক্ত ঋণ প্রদান ও সেলাই প্রশিক্ষন প্রদান, এবতেদায়ী মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে নিরক্ষরতা দূরী করণ।
           অত্রজেলার ২টি উপজেলায় মিশন কেন্দ্রের স্থায়ী ভবন রয়েছে-১টি মেলান্দহ উপজেলায় আর একটি বকশীগঞ্জ উপজেলায় অবস্থিত। উক্ত ২টি মিশন কেন্দ্রের মাধ্যমে ১০-১১ অর্থ বছরে দুঃস্থ অসহায় মহিলাদের সেলাই প্রশিক্ষণ সমাপ্তির পর (৯+৯)=১৮ জন মহিলাদের মধ্যে বিনামূল্যে সেলাই মেশিন অত্র এলাকার মাননীয় তথ্য মন্ত্রী জনাব আবুল কালাম আজাদ ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার এর মাধ্যমে উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে বিতরন করা হয়। বর্তমানে ৬টি করে ২টি উপজেলায় ১২টি সেলাই মেশিন প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত মহিলাদের মধ্যে বিতরন করা হবে।


ইমাম মুয়াজ্জিন কল্যাণ ট্রাষ্ট ঃ- ৬
    ইমাম ও মুয়াজ্জিনদের আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী করে গড়ে তোলার জন্য মানমীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতীয় সংসদে ১লা জুলাই ২০০১ সালে এ্যাক্ট পাস করে সরকার ইমাম ও মুয়াজ্জিন কল্যাণ ট্রাষ্ট গঠন করেছেন। তদরূপ ভাবে অত্র জেলায় বিগত অর্থ বছরে গরীব ও দরিদ্র ইমাম মুয়াজ্জিনের মধ্যে সুদবিহীন ঋণ ও সাহায্যের আবেদনের প্রেক্ষিতে যাচাই/বাছাই পূর্বক মোট ৬জন ইমাম সাহেবকে ৭২,০০০/= টাকা ঋণ দেয়া হয়েছিল যাহা ইতিমধ্যেই আদায় করে ট্রাষ্টের ব্যাংক হিসাবে জমা করা হয়েছে। ট্রাষ্ট কর্তৃক সাহায্যের আবেদন পত্র যাচাই/বাছাই পূর্বক সর্বমোট ১৯ জনকে সাহায্য প্রদান করা হয়েছে সর্বমোট ৮০,০০০/= টাকা । বর্তমানে ট্রাষ্টের প্রধান কার্যালয় কর্তৃক সুদবিহীন ঋণ হিসাবে  ৩,০০,০০০/= (তিন) লক্ষ টাকা ২৬ জন কে এবং অনুদান  হিসাবে ৫০.০০০/= (পঞ্চাশ) হাজার টাকা ১৩ জনের মধ্যে বিতরণ করা হয়েছে।

মসজিদ পাঠাগার স্থাপন প্রকল্প ঃ- ৭

    মসজিদ পাঠাগার স্থাপন প্রকল্পটি ইসলামিক ফাউন্ডেশন কর্তৃক ১৯৭৮-৭৯ অর্থ বছরে প্রথম গ্রহন করা হয়। অদ্যাবধি এর কার্যক্রম অব্যাহত ভাবে চলছে। অত্র জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে ২০১০-১১ অর্থ বৎসর পর্যন্ত ৪৬১টি মসজিদ পাঠাগার স্থাপন করা হয়েছে। উক্ত পাঠাগারে পবিত্র কুরআনুল করীমসহ হাদিস গ্রন্থসহ মসজিদের মুসুল্লীদের পড়াশুনার জন্য বিনা মূল্যে প্রথম ১০,০০০/= টাকার পুস্তক সংযোজন করা হয়েছে। উক্ত পাঠাগারগুলো মসজিদ কমিটির সভাপতি/সম্পাদক কর্তৃক পরিচালিত হয়ে আসছে। আরো উল্লেখ্য যে, উক্ত পাঠাগারগুলো সুষ্ঠ ও সুন্দর ভাবে পরিচালনার জন্য  জেলা কমিটির মাধ্যমে অত্র জেলার ৭টি উপলোয় উপজেলা মডেল লাইব্রেরীয়ান নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও একজন জেলা মডেল লাইব্রেরীয়ান কর্মরত রয়েছেন। উক্ত মসজিদ পাঠাগারে পুস্তক সংরক্ষণের জন্য আলমারী/বুক সেলফ প্রদান করা হয়েছে বিনামূল্যে২০১০-১১ অর্থ বৎসর পর্যন্ত ১১৬টি। এছাড়াও অত্র জেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বুক ক্লাব প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে ১৫১টি।


মসজিদ জরীপ ঃ- ৮

    বাংলাদেশের মসজিদ জরীপের পরিসংখ্যান কত তা জানার জন্য ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আয়োজনে সাড়া দিয়ে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহা পরিচালক মহোদয়ের নির্দেশ মোতাবেক অত্র জেলার উপজেলা ইউনিয়ন ও গ্রাম পর্যায়ে এর সঠিক তথ্য জানার জন্য জেলার কর্মকর্তা/কর্মচারী, ফিল্ড সুপারভাইজার, মডেল কেয়ারটেকার, সাধারণ কেয়ারটেকার, উপজেলা মডেল লাইব্রেরীয়ান এর সহযোগিতায় স্বেচ্ছা শ্রমের ভিত্তিতে তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে। অত্র জেলায় সর্বমোট মসজিদের সংখ্যা ৪,২০২টি।


যাকাত বোর্ড ঃ- ৯

    সরকার দেশের দুঃস্থ ও অসহায়দের জনস্বার্থে ১৯৮২ সালে যাকাত বোর্ড গঠন করেন। যাকাত বোর্ডের প্রাপ্ত অর্থ দিয়ে সমাজের অসহায় ও দুঃস্থদের স্বাবলম্বী করার লক্ষ্যে বিভিন্ন ধরনের কর্মসূচী গ্রহন করা হয়। এর মধ্যে রয়েছে।
(১)টংগী শিশু হাসপাতাল। (২) সেলাই মেশিন প্রকল্প। (৩) দরিদ্র শিক্ষার্থীদের মাঝে শিক্ষা উপকরণ বিতরণ। (৪)মেধাবী ও দরিদ্র ছাত্র/ছাত্রীদের বৃত্তি প্রদান। (৫) রিক্স/ভ্যান ও সেলাই মেশিন প্রদান। (৬) বিধবা পূর্ণবাসনের লক্ষ্যে হাস-মুরগী/গরু/ছাগল প্রদান। (৭) গৃহহীনদের গৃহ নির্মান। (৮) ক্ষুদ্র ব্যবসায়ে পুজি প্রদান ইত্যাদি।
যাকাত খাতের সংগৃহীত অর্থ দ্বারাই এসব কর্মসূচী বাস্তবায়ন করতে হয়। জেলা যাকাত কমিটির  সভাপতি সম্মানিত জেলা প্রশাসক মহোদয়সহ অত্র জেলার ইসলামী চিন্তাবিদ, শিক্ষাবিদ, বিশিষ্ট সমাজসেবক,মসজিদের ইমাম, আলম ওলামাগণ এই কমিটির সদস্য রয়েছে। প্রতি বৎসর রমযান মাসে যাকাতের অর্থ আদায়ের জন্য অত্র জেলার/ধনী ও বিত্তবানদের নিকট পত্র দেয়া হয়। প্রতি বছরই কম/বেশী যাকাতের অর্থ আদায় পূর্বক স্ব-স্ব উপজেলার ব্যাংক হিসাবে জমা করা হয়। র্পবতীতে জমাকৃত অর্থ অত্র জেলার ব্যাক হিসাবে জমা হওয়ারপুর প্রধান কার্যালয়ের যাকাত ফান্ড হিসাবে ডিডি র মাধ্যমে ঢাকায় প্রেরণ করা হয়। প্রেরিত অর্থের ৫০% টাকা অত্র জেলা অফিসে দুঃস্থদের মঝে বিতরনের জন্য প্রেরণ করেন। সরকারী যাকাত ফান্ডের অর্থ পর্যায়ক্রমে শুরু থেকে ২০১০-১১ অর্থ বৎসর পর্যন্ত মোট ২৫৯ জন দুঃস্থদের মধ্যে ৩,২৯,০৪৯/= টাকা বিতরণ করা হয়। চলতি অর্থ বৎসরে জেলা ও উপজেলঅ পর্যায়ে ধনী ও বিত্তবানদের নিকট থেকে আদায় করা হয়েছে ১,৮৫,০০০/= টাকা মাত্র। যাহা অত্র জেলার ব্যাক হিসাবে জমা রয়েছে। উক্ত জমাকৃত টাকা প্রধান কাযালয়ের যাকাত ফান্ড হিসাবে প্রেরণ করা হবে।

জেলা চাঁদ দেখা কমিটির সভা ঃ- ১০

    চন্দ্র মাসের সঠিক হিসাব নিরুপন এবং ধর্মীয় দিবস ও ছুটি সমূহ সঠিক ভাবে নিধারনের জন্য চাঁদ দেখা কমিটির মিটিং গুরুত্বপূর্ন। জেলা প্রশাসক এ কমিটির সভাপতি। জেলা চাঁদদেখা কমিটির মাধ্যমে প্রতি মাসে যথারীতি বাস্তবায়িত হয়ে আসছে। চন্দ্র মাসের সঠিক হিসাব নিধারনে এ সভার ভূমিকা গুরুত্বপূর্ন।

 

জঙ্গীবাদ সন্ত্রাস প্রতিরোধ ঃ- ১১

 

    ইসলামিক ফাউন্ডেশন জামালপুর জেলা কার্যালয় কর্তৃক সরকারী সিন্ধান্ত বাস্তবায়নের জন্য ৭টি উপজেলায় মউশিক এর মাসিক সমন্বয় সভায় পবিত্র কোরআন ও হাদিসের আলোকে স্ব - স্ব মসজিদের ইমাম সাহেব গণকে জুমার নামাজের পূর্বে ৫ মিনিট করে জংগীবাদ সন্ত্রাস প্রতিরোধ বিরোধী মুসুল্লিদের উদ্দেশ্যে বক্তব্য প্রচার করার জন্য বলা হয়েছে।এছাড়াও অত্র কার্যালয়ের কর্মকর্তা/কর্মচারী, ফিল্ড সুপারভাইজার,কেয়ারটেকার ও মসজিদ পাঠাগারের লাইব্রেরীয়ানসহ বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ,ইমাম,খতিব এবং আলেমগনের মাধ্যমে এই কার্যক্রমের সঙ্গে সম্পৃক্ত করে এ কর্মসূচীর কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।

নিজস্ব অফিস ভবন নির্মান ঃ- ১২

    ইসলামিক ফাউন্ডেশন গনপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রনালয়ের আওতাধীন দেশের একমাত্র সরকারী দ্বীনি প্রতিষ্ঠান। দেশের সকল জেলা ও বিভাগীয় সদরে প্রতিষ্ঠিত ইসলামিক ফাউন্ডেশন জেলা ও বিভাগীয় কার্যালয়ের মাধ্যমে ইসলামের ব্যাপক প্রচার ও প্রসারের লক্ষ্যে বিভিন্ন জাতীয় ধর্মীয় গুরুত্বপূর্ণ দিবস উদযাপন,মসজিদ ভিত্তিক শিশু ও গনশিক্ষা কার্যক্রম বাস্তবায়ন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বুক ক্লাব স্থাপন, মসজিদ পাঠাগার স্থাপন, ইসলামিক ফাউন্ডেশন এর প্রকাশিত পুস্তক বিক্রয় ও বিপনন, মহিলা ও যুব অনুষ্ঠান বাস্তবায়ন, যাকাত সংগ্রহ ও বিতরন, জাতীয় শিশু কিশোর সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠান বাস্তবায়ন মসজিদদের ইমামদের ইমাম প্রশিক্ষনের ব্যবস্থা গ্রহন এবং প্রশিক্ষণলব্ধ জ্ঞান মাঠ পর্যায়ে বাস্তবায়ন,মানব সম্পদ উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নসহ আর্থ-সামজিক ও স্বাস্থ্য সেবা উন্নয়নে ইমামগন বৃহত্তর জনগনকে ব্যাপক উদ্ভদ্ধ ও সম্পৃক্তকরন করে পাশাপাশি জনগনের নৈতিক চরিত্র উন্নয়নের ব্যাপক কর্মসূচী বাস্তবায়ন করে আসছে। ইসলামের আলোকে দুনীতি দমন, এইডস প্রতিরোধ,নারীর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধসহ নানাবিদ সমস্যা সমাধানের জন্য প্রতিটি মসজিদের ইমাম.খতিবগনকে সম্পৃক্ত করে গনসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে ব্যাপক কর্মসূচী ফাউন্ডেশন বাস্তবায়ন করে আসছে।

এসব কর্মসূচীর গুরুত্ব অনুধারন করে সরকার বিভিন্ন জেলায় নিজস্ব ভবন নির্মাণ করেছে। ইতিমধ্যে অনেক জেলায় জমি বরাদ্দ পাওয়া গিয়াছে এবং সে সব জমির উপর নিজস্ব ভবন নির্মানের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। কিন্তু অত্র জেলায় ইতিপূর্বে সাবেক জেলা প্রশাসনে আবেদন নিবেদন করার পরও ইসলামিক ফাউন্ডেশনের  অনুকুলে কোন খাস জমি/পরিত্যাক্ত বাড়ী বরাদ্দ পাওয়া যায়নি। বর্তমান জেলা প্রশাসক মহোদয়ের নিকট ২০ (বিশ) শতাংশ অকৃষি খাস জমি বরাদ্দের বন্দবস্তের একটি আবেদন করা হয়েছে।
এবিষয়ে অত্র জেলার মাননীয় ভূমিমন্ত্রী আলহাজ্ব মোঃ রেজাউল করীম হীরা পাবলিক হল জামালপুরে জেলা ইমাম সম্মেলনে জনস্বার্থে ঘোষনা দিয়েছিলেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের নিজস্ব ভবন নির্মানের জন্য জেলার দর্শনীয় স্থানে খাস জমি/পরিত্যাক্ত বাড়ী প্রতিকী মূল্যে ইজারায়/বরাদ্দ প্রদান করা হবে। আমাদের প্রচেষ্টা অব্যহত রয়েছে একটি স্থায়ী ভবন নির্মানের জন্য জেলার যে কোন দর্শনীয় ও পছন্দনীয় স্থানে ২০ (বিশ) শতাংশ খাস জমি ইজারায়/পরিত্যাক্ত বাড়ী বরাদ্দ প্রদানের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করছি।

সরকারী ব্যবস্থাপনায় হজ্ব কার্যক্রম ঃ- ১৩

    গনপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রনালয়ের ব্যবস্থাপনায় ইসলামিক ফাউন্ডেশন এর সহযোগিতায় পবিত্র হজ্ব গমনেচ্ছুকদের উদ্ভদ্ধ করনের জন্য জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে অনুষ্ঠান বাস্তবায়ন করা হয়। ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রনালয় কর্তৃক হজ্ব প্যাকেজ ঘোষনা সরকারী ফরম ও নিয়ামাবলী প্রাপ্তির পর সকল উপজেলায় গ্রাম,ইউনিয়ন হজ্বগমনেচ্ছুকদের উদ্ভদ্ধ করন সভা অনুষ্ঠান উপজেলা নির্বাহী অফিসারের মাধ্যমে বাস্তবায়ন করা হয়। এছাড়াও সরকারী সুযোগ-সুবিধার বিষয়ে তাদেরকে অবহিত করা হয়। জেলা কার্যালয় কর্তৃক সকল হজ্বযাত্রীদের সমাবেশের মাধ্যমে ২/১ দিনের প্রশিক্ষনের ব্যবস্থাগ্রহন করা হয়। অভিজ্ঞ হাজ্বী সাহেবগন,জেলা প্রশাসক,মুফতি,খতিব,ইমাম সাহেবগন সেমিনারে অংশগ্রহন করে থাকেন।

 

ইসলামিক ফাউন্ডেশনের কার্যক্রম ডিজিটালে রুপান্তর ও ডিজিটাল আর্কাইভ স্থাপন প্রকল্প ঃ- ১৪

 

        ইসলামিক ফাউন্ডেশনের কার্যক্রম ডিজিটালে রুপান্তর ও ডিজিটাল আর্কাইভ স্থাপন শীর্ষক প্রকল্প ১০০৭.৩০ লক্ষ টাকা ব্যয় সাপেক্ষে ২০১০-২০১২ মেয়াদে বাস্তবায়নের জন্য গ্রহন করা হয়েছে। প্রধান কার্যালয়সহ ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ৬৪টি জেলা কার্যালয়, ৬টি ইমাম প্রশিক্ষণ একাডেমী কেন্দ্র এবং ৩১ টি ইসলামিক মিশন কেন্দ্রের কার্যক্রম এই প্রকল্পের মাধ্যমে ডিজিটালকরণ করা হবে।

মাননীয় প্রধান মন্ত্রীর আহবান ঃ- ১৫

    মাননীয় প্রধান মন্ত্রীর আহবানে সাড়া দিয়ে ডিজিটাল বাংলাদেশ গঠন,দিন বদলের সনদ বাস্তবায়ন এবং ভিশন ২০২১ বাস্তবায়নে কার্যালয়ের পক্ষ থেকে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহন করা হয়েছে। এছাড়া পরিবেশের ভারসাম্য, সন্ত্রাস/জঙ্গীবাদের প্রতিরোধ, দুর্নীতি প্রতিরোধ ও মাদকমুক্ত সমাজ গঠনের প্রচেষ্টা অব্যহত রয়েছে। পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা এবং বৃক্ষ সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার প্রয়াসে মসজিদের ইমাম ও ধর্মীয় নেতৃবৃন্দ,মসজিদ ভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রম প্রকল্পে নিয়োজিত শিক্ষক ও কেয়ারটেকার,শিক্ষার্থী, অভিভাবক, কার্যালয়ের কর্মকর্তা, কর্মচারীদের প্রত্যক্ষ সহযোগীতায় বিভিন্ন জাতের চারা রোপন ও পরিচর্র্যার ব্যবস্থা করা হয়েছে।

দ্বিতীয় ঃ সর্বক্ষেত্রে দুর্নীতি প্রতিরোধ, ন্যায় ও ইনসাফ ভিত্তিক সমাজ বিনির্মান সৎ, দক্ষ ও যোগ্য নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠা, সন্ত্রাস ও জঙ্গীবাদ প্রতিরোধ বিষয়ে  জনগনের  মধ্যে ব্যাপক সচেতনতা সৃষ্টি করা হচ্ছে। গত ২০/০১/২০১০ তারিখে বঙ্গবন্ধু আনন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত জাতীয় ইমাম সম্মেলনে মাননীয় প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা ইসলামিক ফাউন্ডেশন এর জন্য উপজেলা পর্যায়ে উপজেলা অফিস স্থাপন এবং ধর্মীয় শিক্ষায় শিক্ষকদের জন্য প্রায় ১ লক্ষ লোকের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টির ঘোষনা দিয়েছেন এবং এজন্য ইতোমধ্যে প্রকল্প প্রস্তাবনা পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ে অনুমোদনের অপেক্ষায় আছে। এ প্রকল্পটি একনেক কর্তৃক পাশ হলে প্রায় ১ লক্ষ লোকের চাকুরীর সুযোগ সৃষ্টি হবে। আমরা মাননীয় প্রধান মন্ত্রীর বলিষ্ট ভুমিকার প্রশংসা করি।

বঙ্গবন্ধু শিশু মঞ্চ ঃ- ১৬

    জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিবস ও জাতীয় শিশু দিবস উদযাপন উপলক্ষে ইসলামিক ফাউন্ডেশন ২ দিন ব্যাপি কুইজ, রচনা ও হামদ-নাত, কেরাত প্রতিযোগিতা, আলোচনা সভা জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে র‌্যালিসহ মিলাদ ও দোয়া মাহফিল এর অনুষ্ঠান বাস্তবায়ন করা হয়।এছাড়াও প্রতিযোগিতায় বিজয়ী ছাত্র/ছাত্রীদের মধ্যে পুরস্কার ও সনদপত্র বিতরন করা হয়।

সম্ভাব্য বাস্তবায়নযোগ্য প্রকল্পের তালিকা ঃ- ১৭

১।  ক) প্রাইমারী স্কুল ভিত্তিক ধর্মীয় ও নৈতিকতা উন্নয়ন প্রকল্প
      খ) আলেমদের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টির লক্ষ্যে যাকাত-উশর আদায় ও বিতরণের মাধ্যমে দারিদ্র হ্রাসকরণ প্রকল্প

২।   রাজস্ব বাজেটের আওতায় বাস্তবায়িত কর্মসূচির তালিকা ঃ

       ক)  সন্ত্রাস, জঙ্গীবাদ দমন এবং ইসলামের আলোকে সামাজিক সমস্যা সমাধান কর্মসূচি।
       খ) ইসলামিক ফাউন্ডেশনের প্রধান কার্যালয় ও ৭টি বিভাগের নিজস্ব ভবনে সোলার প্যানেল স্থাপন কর্মসূচি।
৩। সম্ভাব্য বাস্তবায়নযোগ্য কর্মসূচির তালিকা ঃ-
     ১.  মসজিদ ভিত্তিক ধর্মীয় ও সামাজিক মূল্যবোধ সৃষ্টির প্রকল্প
     ২.  ইসলামিক ফাউন্ডেশনের আরবী ভাষা শিক্ষা ইনস্টিটিউট প্রকল্প।
     ৩.  ইসলামের আলোকে নারীর ক্ষমতায়ন প্রকল্প।

 


অন্যান্য কার্যক্রম ঃ- ১৮

    যৌতুক ও মাদকের কুফল, বাল্যবিবাহ নিরুসাহিত করণ, ছবিযুক্ত ভোটার তালিকা প্রনয়ন ও র্দুনীতি মুক্ত সমাজ গঠনে সহযোগিতা, স্যানিটেশন, নারী ও শিশু নির্যাতন ও পাচার প্রতিরোধ, এইচ, আই, ভি,এইডস, জন্ম-মৃত্যু নিবন্ধন, সন্ত্রাস/জঙ্গীবাদের কুফল বিষয়ে পুস্তিকা ও লিফলেট তৈরী ও বিতরণ, সচেতনতা সৃষ্টি, ধুমপান নিরুসাহিত করণ, এন, আই, ডি বাস্তবায়নে সহযোগিতা, জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ, প্রজনন স্বাস্থ্য এবং নারী অধিকার সংরক্ষণ, র্দুযোগ ব্যবস্থাপনা, প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলায় ধর্মীয় নেতার মাধ্যমে জনগনকে অবহিত করা এবং স্থানীয় প্রশাসন ও সরকার কর্তৃক দায়-দায়িত্ব তাৎক্ষনিক ভাবে বাস্তবায়ন ও সহযোগিতা অব্যাহত রয়েছে।

             জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ইসলামিক ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠা করেছিলেন দেশের আলেম সমাজকে ঐক্যবদ্ধ করে একটি অভিন্ন প্ল্যাটফর্ম থেকে কুরআন ও সুন্নাহর প্রচার  ও প্রসার কার্যক্রম পরিচালনার উদ্দেশ্যে। প্রতিষ্ঠার পর থেকে এ প্রতিষ্ঠান দেশের সর্বস্তরের লেখক, গবেষক ও ইসলামী চিন্তাবিদগণের সম্মিলিত প্রয়াসে জাতি গঠনে মূল্যবান অবদানে রেখে আসছে। কখনও কখনও এ ধারার ব্যত্যয় ঘটলেও এর কার্যক্রম এগিয়ে গেছে নিজস্ব গতিতে। ইসলামের সুমহান আদর্শ, শিক্ষা সংস্কৃতি, ইতিহাস ঐতিহ্যের প্রচার-প্রসার এবং উন্নয়ন কর্মকান্ডে এ প্রতিষ্ঠানের অবদান আজ দেশে-বিদেশে স্বীকৃত ও সমাদৃত।
           আমাদের এ দাওয়াতী কার্যক্রমকে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে সম্প্রসারিত করে  উম্মাহর খেদমতে আরো ব্যাপক অবদান রাখার সুযোগ রয়েছে। আশা করা যায়, আলীয়া-কওমী-আলেম-ওলামা-পীর মাশায়েখসহ সকল ধর্মপ্রাণ জনগণের আন্তরিক সহযোগিতা ও কর্মপ্রয়াসে বঙ্গবন্ধুর রেখে যাওয়া এ প্রতিষ্ঠান অচিরেই এর কার্যক্রমকে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে, বিশেষ করে মুসলিম বিশ্বে সম্প্রসারিত করে ইসলামের ভ্রাতৃত্ব, সৌহার্দ ও অগ্রগতির প্রতীক হিসেবে এগিয়ে যাবে।

 

 
                                         
(মোঃ আবদুর রাজজাক)
উপ-পরিচালক
 ইসলামিক ফাউন্ডেশন,জামালপুর